‘প্রেম ‘ শব্দটি  বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে স্বতন্ত্র অর্থ বহন করে, ‘প্রেমের’ বিভিন্ন প্রকৃতি আছে. নৈর্ব্যক্তিক প্রেম, জৈবিক প্রেম, মানসিক প্রেম , আবেগময় প্রেম, প্রকৃত প্রেম প্রভৃতি। এই প্রবন্ধে আমি এমন একটি যন্ত্রম , যা পারস্পরিক ভালবাসার জন্য ব্যবহার করা হয় সে সম্পর্কে লিখছি।আবেগময় প্রেম, প্রকৃত প্রেমে দুটি ব্যক্তির মধ্যে বেশি এতটাই গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে যে তাঁরা একে অন্যকে প্রেমিক বা প্রেমিকা হিসাবে না পেলে পাগলের মতো হয়ে ওঠেন, হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে পড়েন, তাঁদের জন্য এই যন্ত্রমটি অনবদ্য যন্ত্রম রূপে কাজ করবে।

এই প্রমাণিত প্রেমিক-প্রেমিকা আকর্ষণের যন্ত্রম তৈরি করা খুব সহজ  এবং একটি ইতিবাচক ফল দ্রুত দিতে সক্ষম।প্রমাণিত প্রেমিক-প্রেমিকা আকর্ষণের যন্ত্রম মাসের প্রথম শুক্লপক্ষের শনিবারে সকাল ৬ টা  থেকে  সকাল ৮ টার মধ্যে তৈরি করে নিতে হবে।

যে ব্যক্তি আকর্ষণের যন্ত্রমটি তৈরি করবেন,তিনি প্রেমিক বা প্রেমিকার ব্যবহার করা কাপড়ের টুকরোতে  কালো কালি বা অষ্ট্গন্ধ কালি দিয়ে এবং ডালিম গাছের সরু কাঠের কাঠিকলম দিয়ে লিখবেন ।  যখন এই আকর্ষণের যন্ত্রম আঁকা হবে, তার মুখের মধ্যে গোলমরিচ নিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে ও ছাড়তে ছাড়তে যন্ত্রমের চিত্রটি আঁকতে হবে।

শনিবারে একটি টেবিলে পূর্ব দিকে মুখ করে একটি শুদ্ধাসনে বসতে হবে।  পরে কিছু সুবাসিত ফুল, কিছু মিষ্টি, কিছু ধূপ কাঠি ও প্রদীপ জ্বেলে নিয়ে আকর্ষণের যন্ত্রমটির উপাসনা করে উনোনে বা গ্যাস ওভেনে ফেলে জ্বালাতে হবে।  টানা ২১ দিন ধরে এই কাজটি করতে হবে। প্রেমিক বা প্রেমিকা, যাঁর উদ্দেশ্যে এই কাজটি করা হবে, সে পাগলের মতো ছুটে আসবে। ২১ দিনের আগে যদি  কাজ সফল হয়, তবে বন্ধ  করে দিতে হবে।

 প্রমাণিত প্রেমিক-প্রেমিকা আকর্ষণের যন্ত্রমটি অতি প্রাচীন এবং  একমাত্র বিশুদ্ধ প্রেম বা বিয়ের উদ্দেশ্যেই  শুধুমাত্র ব্যবহার করা যাবে। আমার বিনীত আবেদন,  কোনো অবৈধ ভালবাসার জন্য এটা করা বা  কোনো খারাপ উদ্দেশ্যের জন্য এটি ব্যবহার করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।  যদি কোনো ব্যবহারকারী অবৈধ সম্পর্কের জন্য এই  আকর্ষণের যন্ত্রম ব্যবহার করে , তাহলে সে তার কাজের জন্য ভুক্তভোগী হবেন। . আমি এই  আকর্ষণের যন্ত্রমের হয়ে ওকালতি করছি না, আমি শুধু তথ্যমূলক, শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে এই প্রবন্ধে  আকর্ষণের যন্ত্রমটির  সম্পর্কে বর্ণনা করছি। কোনো ব্যর্থতা বা সাফল্যের বিষয়ে আমি বা আমার এই ব্লগের কোনো সম্পর্ক নেই।