সর্বশ্রেষ্ঠ ব্রত মহাশিবরাত্রি / Maha Sivratri Vrata (best powerful)

Maha Sivratri Vrata (best powerful)

সব ব্রতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ব্রত হল মহাশিবরাত্রি। মহাশিবরাত্রি সাধারণত ইংরাজী মাসের ফেব্রুয়ারী বা মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। ব্রতের আগের দিন ভক্তগণ নিরামিষ আহার করে থাকেন। রাতে বিছানায় না শুয়ে মাটিতে শোয়া হয়। ব্রতের দিন তারা উপবাসী থাকেন।
ভারতবর্ষের বারোটি জ্যোতির্লিঙ্গ তথা সমস্ত শিবমন্দিরে সারারাত ধরে দেবাদিদেবের আরাধনা চলে, শৈব তান্ত্রিকেরাও এইদিন সিদ্ধিলাভের জন্য বিশেষ সাধনা করে থাকেন।

 রাত্রিবেলা চার প্রহরে শিবলিঙ্গকে দুধ, দই, ঘি, মধু ও গঙ্গাজল দিয়ে স্নান করানো হয়। অর্থাৎ পঞ্চামৃতে স্নান করানো হয়।

চন্দন,বেলপাতা, নীলকন্ঠ ফুল, ধুতুরা, আকন্দ, অপরাজিতা প্রভৃতি ফুল দিয়ে পূজা করা হয়।  সেদিন রাত্রি জাগরণ করা হয় ও শিবের ব্রতকথা, মন্ত্র আরাধণা করা হয়।
হিন্দু মহাপুরাণ তথা শিবমহাপুরাণ অনুসারে এইরাত্রেই শিবসুন্দর সৃষ্টি, স্থিতি ও প্রলয়ের ভয়ঙ্করতম তান্ডব নৃত্য করেছিলেন । আবার এইরাত্রেই শিব ও পার্বতীর বিবাহ হয়েছিল । এর নিগুঢ় অর্থ হল শিব ও শক্তি তথা পুরুষ ও পরাপ্রকৃতির মিলন। এই মহাশিবরাত্রিতে শিব তার প্রতীক লিঙ্গরূপে প্রকাশিত হয়ে জীবের পাপনাশ ও মুক্তির পথের বিধিবিধান রচনা করেছেন।

মহাশিবরাত্রির  ব্রতকথা

শিবমহাপুরাণ অনুসারে, অতি প্রাচীনকালে বারাণসী তথা কাশীধামে এক নিষ্ঠুর ব্যাধ বাস করত। সে প্রতিদিন প্রচুর জীবহত্যা করে মাংস নিয়ে বিক্রি করে, পেট চালাত।  একদিন শিকারে বেরিয়ে তার খুব দেরী হয়, এদিকে সন্ধ্যার ঘোর অন্ধকারে পথ হারিয়ে ফেলে সে, ফলে পথ হারিয়ে রাতে হীংস্র জন্তুর ভয়ে একটি উঁচু গাছের উপর আশ্রয় নেয় । কোনো শিকার না পেয়ে সে হতাশ হয়ে গাছ থেকে একটা করে পাতা ছিঁড়ে নীচে ফেলতে থাকে । গাছটি ছিল বেলগাছ । আর সেই বেলগাছের নিচে একটি শিবলিঙ্গ ছিল।

সেদিন ছিল শিবচতুর্দশী অর্থাৎ মহাশিবরাত্রির পুন্য রাত্রি। আর ব্যাধও ছিল ক্লান্ত ও উপবাসী। তার ফেলা বেলপাতাগুলো শিবলিঙ্গের মাথায় পড়ে, শিশির সিক্ত সে বেলপাতা গ্রহণ করে ভোলানাথ যারপরনাই তুষ্ট হন।  এর ফলে তার শিবচতুর্দশী ব্রতের ফল লাভ হয় তার অচিরেই এবং অজান্তেই। পরদিন ব্যাধ বাড়ী ফিরে এলে তার খাবার সে এক অতিথিকে দিয়ে দেয়। এতে তার ব্রতের পারণ ফলও একইসঙ্গে লাভ হয়।

এর কিছুদিন পরে সেই ব্যাধ মারা গেলে যমদূতরা তাকে নিতে আসে। কিন্তু শিবচতুর্দশী ব্রতের ফল লাভ হেতু শিবদূতরা এসে যুদ্ধ করে যমদূতদের পরাস্ত করে ব্যাধকে নিয়ে যায়। যমরাজ তখন শিকার করেন যে, যে মানুষ শিবচতুর্দশী ব্রত পালন করে, তার উপর যমের কোনো অধিকার খাটেনা। ব্যাধ তার অভিশপ্ত জীবন থেকে মুক্তিলাভ করে। এইভাবে মর্ত্যলোকে মহান শিবচতুর্দশী ব্রতের প্রচার ঘটে।

শিব পঞ্চাক্ষরী মহামন্ত্র : ” ওঁ নমঃ শিবায়ঃ 

 


 

 

Maha Sivratri Vrata (best powerful)

Maha Sivratri Vrata (best powerful) সব ব্রতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ব্রত হল মহাশিবরাত্রি। মহাশিবরাত্রি সাধারণত ইংরাজী মাসের ফেব্রুয়ারী বা মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। ব্রতের আগের দিন ভক্তগণ নিরামিষ আহার করে থাকেন। রাতে বিছানায় না শুয়ে মাটিতে শোয়া হয়। ব্রতের দিন তারা উপবাসী থাকেন।ভারতবর্ষের বারোটি জ্যোতির্লিঙ্গ তথা সমস্ত শিবমন্দিরে সারারাত ধরে দেবাদিদেবের আরাধনা চলে, শৈব তান্ত্রিকেরাও এইদিন সিদ্ধিলাভের জন্য…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!