কিছু প্রয়োজনীয় তন্ত্র টোটকা / Some essential tantra tips for our daily life

Some essential tantra tips
প্রিয় পাঠকগণ ! Some essential tantra tips – এমনিতে আমরা সবাই জানি কোনোও  ব্যক্তিকে ছুরি চালাতে গেলে কোনোওপ্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয় না। যদি সে কোনোও অবস্থায় একটি বড় কাটারি পেলো ও কোনোও  পরিনাম না বুঝে কারোর পেটে ঢুকিয়ে দিলো। কিন্তু সেই কাটা স্থানের চিকিৎসা করার জন্য বিশেষ জ্ঞান ও ঔষধের প্রয়োজন। অভিজ্ঞ ডাক্তার ছাড়া সেই ক্ষত সেপ্টিক হয়ে ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে। ক্ষতি হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
 


সাধারণতঃ (Some essential tantra tips) তান্ত্রিক টোটকা অনেক বুদ্ধি করে করতে হয়।কিন্তু আজকাল ছোট-ছোট অনেক অল্প বিদ্যার তান্ত্রিক দেখা যায়,যারা কেবল জনগনের কোনোও কাজে আসে না বরং ক্ষতি অব্যশই করে থাকে। কিছু ব্যক্তি এদিক সেদিক থেকে ছোটো খাটো তান্ত্রিকের প্রয়োগ শিখে ও অন্যের কাছ থেকে পয়সা পেয়ে এমনভাবে তার প্রয়োগ করে যার ফলে প্রভাবিত ব্যক্তির সংসার ধ্বংসের পথে চলে যায়। কারণ একবার তান্ত্রিক প্রয়োগ হবার পরে সেটিকে নষ্ট করার জন্য বিদ্যান তান্ত্রিকের প্রয়োজন। তান্ত্রিক প্রয়োগ একবার শুরু হয়ে গেলে সেটিকে নষ্ট করার জন্য এটা জানা দরকার যে, কি ধরনের প্রয়োগ হয়েছে এবং এটিকে নষ্ট করার কি কৌশল এটাও জানা দরকার। কোন সাধনা অথবা কি ধরনের টোটকার দ্বারা এর বিনাশ হতে পারে।

 
স্বামী দয়ানন্দ প্রাচীনকালে একজন বিখ্যাত সন্ন্যাসী ছিলেন। তিনি স্বামী বিরজানন্দর খ্যাতি শুনে তার সাথে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিলেন। স্বামীজী প্রায়ই পুরো সময় কুটিরে কাটাতেন। কারোর সাথে দেখা করতেন না। দয়ানন্দ একদিন উপস্থিত হয়ে তার কুটিরের দরজা খটখট করলেন তো ভিতর থেকে আওয়াজ এলো ——- “কে ?”
 
           দয়ানন্দ বললেন —– “এটাই তো আমিও জানতে চাইছি যে আমি কে ?”
 
           কিছুক্ষন পর আবার আওয়াজ এলো——-“কিছু জ্ঞান কি আপনার হয়েছে ?”
 
           দয়ানন্দ শাস্ত্র জ্ঞানের অহংকার থেকে বঞ্চিত হয়ে বিরজানন্দর শিষ্যত্ব গ্রহণ করলো। তারই দীক্ষা এবং জ্ঞানের ফলস্বরূপ দয়ানন্দ সরস্বতী সম্পূর্ণ ভারতবর্ষে ভণ্ডামি ও কপটতা দূর করলেন। এটা বলার উদেশ্য,যে গুরুর কাছে সমস্ত অহংকার ত্যাগ করে যেতে পারবে সেই সফল হবে।
 
 প্রিয় পাঠকগণ! সম্পূর্ণ চারণ পৃথিবী মহাশক্তির দ্বারা সঞ্চালিত হয়। এটি ত্রিগুণাত্মিকা রূপা  মহাশক্তি সত্ব, রজ, তম বা অন্ধকার এই তিনটি গুনের দ্বারা সংযুক্ত হয়ে সদাশিব দ্বারা প্রকট, পাঁচটি তত্ব পৃথিবী, জল,অগ্নি, বাতাস ও আকাশে মিলে সম্পূর্ণ পৃথিবীর সংহার করে থাকে। এই মহাশক্তির দয়াশীলে ব্রহ্মা এই পৃথিবীর রচনা করতে সক্ষম হন, বিষ্ণু পালন করেন এবং ভগবান শঙ্কর বিনাশ করেন। এই মহাশক্তি বিদ্যা এবং অবিদ্যা দুটি রূপে সম্পূর্ণ বিশ্বতে ছড়িয়ে গেছে। অবিদ্যার রূপে মহামায়ার মায়াজালে আটকে জীব -সংসারে ব্যবহার হচ্ছে এবং বিদ্যা রূপে ওই মহাশক্তি জীবনের বাস্তবিক রহস্যের জ্ঞান করিয়ে জীবকে আত্ম সাক্ষাৎ ঘটিয়ে দিচ্ছে। আমাদের বেদ ,বেদান্ত, এরকম অনেক শাস্ত্রতে গুপ্ত ও রহস্যময়ী বিদ্যার উল্লেখ করা হয়েছে তবুও তার মধ্যে ১০টি মহাবিদ্যার গুণাবলী স্পষ্ট ভাবে বর্ণিত করা হয়েছে। যা এই মহাশক্তির জগৎ জননীর আর একটি অভিন্ন রূপ।মহাকালের গর্ভে অনন্ত বিশ্ব ভ্ৰমণ করছে। 
 
আসুন এবার আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কিছু লাভের কথা নিয়ে আলোচনা করি: 
 
অনেক সময় এমন হয়েছে যে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ছোট-ছোট কথায় তর্ক -বিতর্ক হতে হতে অবাঞ্ছিত তর্ক হয়ে যায় ও বাড়িতে রীতিমত ঝগড়ার পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এই পরিস্থিতিতে বাড়িতে ব্যবহার করা জলের ঘড়া থেকে এক মগ জল নিয়ে বাড়ির চারটি কোনায় ও মধ্যস্থানে একটু ছড়িয়ে দিন, পরিবেশটি শান্ত হয়ে যাবে।


 
বাড়িতে বাস্তু আর সমস্ত প্রকারের শান্তির জন্য আপনি আপনার বাড়ির মন্দিরে যে ধূপকাঠি পূজার সময় জ্বালিয়ে থাকেন সেটিকে বাঁদিক থেকে (উল্টোদিকে) পুরো বাড়ির দেওয়ালের সামনে দিয়ে ঘুরে এসে আবার পুনরায় মন্দিরে লাগিয়ে দিন, বাড়িতে শান্তি ও খারাপ নজর থেকে সুরক্ষিত থাকবে।
 
অনেক বার এমন দেখা যায় যে কোনোও বাক্তি ঘুমের ঘোরে সবসময় ভয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে ও চমকে জেগে উঠে। এই পরিস্থিতিতে যে দিকে পা করে শুয়েছেন সেই দিকে মাথা করে অর্থাৎ বিছানার দিকে মাথাটি ঘুরিয়ে নিন তাহলে ভয়ের স্বপ্ন দেখা বন্ধ হয়ে যাবে ও গভীর ঘুম আসবে।
 
যদি কোনোও ব্যক্তিকে ঘুমানোর সময় প্রেতাত্বা বিরক্ত করে ও ঘুমোতে দেয় না তাহলে শোবার আগে নিম্ন মন্ত্রগুলি উচ্চারণ করলে প্রেতাত্বা আর বিরক্ত করবে না ও ভয়রহিত ঘুম আসবে। ‘হনুমান কো ওমকার মেরি তরফ কোই বুড়ি বলা আয়ে তো লগে খুন সে ভরী তলোয়ার।’   
 
ব্যক্তির জীবনে জ্ঞানত অথবা অজ্ঞানবশত অনেক শত্রূর সৃষ্টি হয়। অনেক সময় এমন দেখা গেছে যে  তার পরিবারে এক প্রকারের ‘নজর’ লেগে যায়। এর থেকে মুক্তি পাবার জন্য মঙ্গলবার অথবা শনিবার সন্ধের সময় ৬ টি ধূপকাঠি জ্বালিয়ে মন্দিরে ইষ্টদেবতার ধ্যান করে লাগিয়ে দিন। এবার অল্প পরিমানে গুঁড়ো নুন নিয়ে চারকোনায় ছড়িয়ে দিন, আর পরেরদিন ঝাড়ু দিয়ে ঘরের বাইরে ফেলে দিন। সমস্ত নজর দূর হয়ে যাবে।
 
একটি পান, এক মগ জল, দুটি বাতাসা, দুটি গোটা এলাচ অশ্বথ গাছে শনিবার ও মঙ্গলবার দিন চুপচাপ রেখে দিন। এর ফলে সমস্ত কুপ্রভাব দূর হয়ে যাবে।
 
এবার হনুমানজী ও দৈত্যের একটি মন্ত্র বলতে চলেছি———-

       
        বীর বলি হনুমন্তজি, মুগদর দাহিনে হাত।
        মার মার পচ্চারিয়  , পর্বত বায়ে হাত।
        ভুত প্রেম ঔর ডাকিনি জিন্ন খবিস মসানী।
        বঁচে না ইসমে এক হুঁ  নিরাকার হি আন।। 
        দুহাই অঞ্জনী মাতা কি, দুহাই রাজ রামচন্দ্র কি। 
        দুহাই লক্ষণ এতি কি।  
        মেরি ভক্তি গুরু কি শক্তি ফুরো মন্ত্র ঈশ্বরও বাঁচা  

 
 
নতুন পোস্ট/ New Posts

 

প্রিয় পাঠকগণ ! Some essential tantra tips – এমনিতে আমরা সবাই জানি কোনোও  ব্যক্তিকে ছুরি চালাতে গেলে কোনোওপ্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয় না। যদি সে কোনোও অবস্থায় একটি বড় কাটারি পেলো ও কোনোও  পরিনাম না বুঝে কারোর পেটে ঢুকিয়ে দিলো। কিন্তু সেই কাটা স্থানের চিকিৎসা করার জন্য বিশেষ জ্ঞান ও ঔষধের প্রয়োজন। অভিজ্ঞ ডাক্তার ছাড়া সেই ক্ষত…

error: Content is protected !!